বিজিপি-পুলিশ মোতায়েন করেও আটকানো যাচ্ছে না বাড়ি ফেরা!
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামরি করোনার কারনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঈদযাত্রায় নিরুৎসাহিত করেছে সরকার। সেই লক্ষ্যে ঈদের ছুটি নির্ধারনে করে তার সাথে অতিরিক্ত ছুটি দিতেও নিষেধ করেছে।
এতো সব বিধি-নিষেধের পরেও মানুষ বাড়ী ফিরছেই। এসব বন্ধ করতে আজ থেকে মহাসড়কে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রীদের আসা ঠেকাতে এরইমধ্যে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার মোট তিনটি পয়েন্টে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জের প্রবেশপত্র বারোবাড়ীয়া ও শিবালয়ের টেপরা এবং হেমায়েতপুর-সিংগাইর আঞ্চলিক সড়কের ধল্লা এলাকায় বিজিবির তিন প্লাটুন সদস্য দায়িত্ব পালন করছে।
এছাড়া পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাটুরিয়া ঘাটের পল্টুন ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবির।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাড়ি ও ফেরি বন্ধ থাকলেও থেমে নেই ঘরমুখো মানুষের চাপ। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে জরুরি সেবা ও ট্রাক নিয়ে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। প্রতিটি ফেরিতে জোর করে উঠে যাওয়া চার থেকে পাঁচশতাধিক যাত্রী পার হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে থাকছে না কোনো সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি। গাদাগাদি করে পার হচ্ছে মানুষ। বিষয়টি নিয়ে নজরও নেই কারো।
এদিকে যাত্রী ও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করার কারণে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় আটকে আছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক ফিরোজ সেখ জানান, ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তি কমাতে ব্যক্তিগত যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। আর পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে রাতের বেলায় পারাপার করা হবে।