আল্লামা সাঈদীর কবরকে শিরক-বিদআত থেকে দূরে থাকতে হবে: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান


নিজস্ব প্রতিবেদক

আরটিএনএন

ঢাকা: বিশ্বে নন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রহ. কোটি কোটি ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে। দীর্ঘ ১৩ বছর জুলুম-নির্যাতন ও কারাভোগের পর তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে সবাই কষ্ট পেয়েছেন। দেশ ও প্রবাসে অবস্থানরত বহু মানুষ তার আত্মার মাগফিরাতের জন্য দান-সাদাকা ও দোআ করছেন। আমরা জানতে পেরেছি, কিছু ভক্ত তার কবরে গিয়ে চুমু খাওয়া, বিলাপ করে কান্না-কাটি করা, কবর থেকে মাটি নিয়ে আসা ছাড়াও এমন কিছু কাজ করছে যা শিরক ও বিদআতের শামিল। শিরক ও বিদআতের মতো হারাম কাজ থেকে সবাইকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

রোববার (২০ আগস্ট) সকালে জামায়াতে ইসলামী নড়াইল জেলা আয়োজিত জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য আতাউর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালি কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আল্লামা সাঈদী সারা জীবন কবর ও মাজার পূজার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে কুরআন-হাদীসের আলোকে মুসলমানদের সতর্ক করে গিয়েছেন। আমরা সবাইকে সাবধান করছি- কেউ শিরকের মতো হারাম কাজে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করবেন না। আল্লাহ আমাদেরকে শিরক ও বিদআতমুক্ত জীবন-যাপন করার তাওফিক দান করুন, আমিন।

তিনি বলেন, আল্লামা সাঈদীসহ আমাদের সকল নেতারা জালিম সরকারের দ্বারা বিচারিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমরা দুনিয়ার আদালতে ন্যায় বিচার না পেলেও আখেরাতের আদালতে পাব ইনশাআল্লাহ।

আমিরে জামায়াত বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই জালিম সরকারকে বিদায় করতে হবে। এজন্য তিনি সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঈমানী শক্তিতে উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথি জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, দ্বীনের দাওয়াতি কাজ যখন বৃদ্ধি পায়, তখন বাতিল শক্তির ষড়যন্ত্র বেড়ে যায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে নানা ফন্দি-ফিকির শুরু করেছে। সচেতন দেশবাসীকে তাদের দেশবিরোধী সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে।

জামায়াত কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কর্মীদেরকে কুরআন-হাদীসের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করে সে অনুযায়ী নিজেদের জীবনকে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশে একটি ইনসাফপূর্ণ ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সর্বস্তরের জনশক্তিকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

কর্মী সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল টিম সদস্য ড. আলমগীর বিশ্বাস, সাবেক জেলা আমির মাওলানা মির্জা আশেক এলাহী, জেলা নায়েবে আমির বাদশা মিয়া, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আবুল বাশার ও আইয়ুব হোসেন খান প্রমুখ।