ইন্টারনেটে ব্যাপক জনপ্রিয় গোমড়ামুখো বিড়ালের মৃত্যু


নিউজ ডেস্ক

আরটিএনএন

ওয়াশিংটন ডিসি: সবসময় মুখ গোমড়া করে রাখায় 'গ্রাম্পি ক্যাট' বা গোমড়ামুখো বিড়াল নামে জনপ্রিয় যে বিড়ালটির ছবি ইন্টারনেটে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল, সেটি সাত বছর বয়সে মারা গেছে বলে জানিয়েছে সেটির মালিক।

মূত্রাশয়ে ইনফেকশনের কারণে মঙ্গলবার বিড়ালটি মারা যায় বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়। খবর বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার ঐ বিড়ালটি 'লক্ষ লক্ষ মানুষের হাসির খোরাক' যোগান দিয়েছে।

গোমড়ামুখে বিড়ালটির আসল নাম ছিল 'টার্ডার সস'।

২০১২ সালে বিড়ালটির রাগান্বিত অভিব্যক্তির একটি ছবি অনলাইনে ভাইরাল হয়, আর তারপরই ঐ ছবিটি ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন অনলাইন 'মিম' তৈরিতে।

বিড়ালের মালিক তাবিথা বুন্দেসেনের মতে, বিড়ালটির মধ্যে কয়েকটি বিশেষ ধরণের রোগ থাকার কারণে এটি সবসময় বিশেষ ধরণের মৌখিক অভিব্যক্তি প্রকাশ করতো।

বিড়ালটির জনপ্রিয় ছবিটি বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্যক্তিদের পেইজ থেকে পোস্ট শেয়ার দেয়া হয়।

'গোমড়ামুখে বিড়াল' তার জীবদ্দশায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেছে।

২০১৪ সালে বিড়ালটিকে নিয়ে বানানো বড়দিনের চলচ্চিত্রেও দেখা যায় তাকে।

২০১৫ সালে স্যান ফ্রান্সিসকোর মাদাম তুস্যো জাদুঘরে বিড়ালটির একটি মোমের মূর্তিও উম্মোচিত হয়।

বিড়ালটির ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা ২০ লাখরেও বেশি।

'গ্রাম্পি' বা গোমড়ামুখো হিসেবে পরিচিত এই বিড়ালটির ছবি লক্ষ লক্ষ মিম'এ ব্যবহার করা হয়েছে।

তার মৃত্যুর খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বহু মানুষ আবারো তর ছবিসহ মিম শেয়ার করা শুরু করে।

২০১৮ সালে একটি কপিরাইটের মামলায় বিড়ালটির মালিক ৭ লক্ষ ১০ হাজার ডলার অঙ্কের অর্থ জরিমানা পান।

বিড়ালের ছবিস্বত্ত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বে 'গ্রাম্পি ক্যাট লিমিটেড' গ্রেনেড নামের মার্কিন একটি কফি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামালা করে।

কফি কোম্পানিটির শুধু মাত্র 'গ্রাম্পুচিনো' কফি বিক্রি করার ক্ষেত্রে বিড়ালটির ছবি ব্যবহার করার কথা থাকলেও অন্যান্য পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রেও বিড়ালটির ছবি ব্যবহার করছিল।

বিড়ালটি ইন্টারনেটে খ্যাতি পাওয়ার আগে বিড়ালের মালিক মিজ. বুন্দেসেন একটি রেস্টুরেন্টে পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন।

সামাজিক মাধ্যমে তার বিড়াল 'গ্রাম্পি'র প্রথম আবির্ভাবের কয়েকদিন পরই তিনি চাকরি ছেড়ে দেন বলে এক্সপ্রেস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন।