হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন নামঞ্জুর


নিজস্ব প্রতিবেদক

আরটিএনএন

ঢাকা: আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্লবী থানায় প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ফলে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে তাকে।

বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিস শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নাকোচ করেন। আদালত সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগের দিন মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত পল্লবী থানায় করা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার সাবেক আওয়ামী লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দেন।

আদালত সূত্র বলছে, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর গুলশান থেকে বিদেশী মদসহ গ্রেফতার হন হেলেনা জাহাঙ্গীর। পরে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান ও পল্লবী থানায় পৃথক পাঁচটি মামলা হয়। মামলাগুলো করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বন্য প্রাণী নিয়ন্ত্রণ আইন ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে।

এ ছাড়া পল্লবী থানায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে প্রতারণার একটি মামলা করেন একজন সাংবাদিক। ওই ছয় মামলার মধ্যে তিনি মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পান।

গত ৩ আগস্ট পৃথক চার মামলায় আলোচিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মিরপুর থানায় প্রতারণা মামলা ও পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ আইনের মামলায় চার দিন করে মোট আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনুর রহমান। আর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিন দিন করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি।

গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গত ৩০ জুলাই হেলেনা জাহাঙ্গীরের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল।

২৯ জুলাই রাত ৮টার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২-এর ৩৬ নম্বর রোডের বাসভবনে অভিযান শুরু করে র‍্যাব। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়। পরে র‍্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। ৩০ জুলাই দুপুরে এক ক্ষুদে বার্তায় তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানায় র‍্যাব।