যে কারণে ভেঙ্গে ফেলা হল আবরারের স্মৃতিতে তৈরি স্তম্ভ


নিউজ ডেস্ক

আরটিএনএন

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগের সদস্যদের নির্যাতনে মারা যাওয়া আবরার ফাহাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে পলাশী মোড়ে তৈরি করা স্মৃতিস্তম্ভ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেঙ্গে দেয়া নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা দেখা গেছে।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মৃত্যুর প্রথম বার্ষিকীতে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ এর ব্যানারে মঙ্গলবার রাতে পলাশী মোড়ে ঐ স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়। খবর বিবিসি বাংলার

বুধবার সন্ধ্যায় স্থাপনাটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলার পর, কারা এটি ভেঙ্গেছে তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নিশ্চিত করেছে, তাদের উদ্যোগেই স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

যে কারণে ভেঙ্গে ফেলা হল স্থাপনা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের নিশ্চিত করেন যে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষই ঐ স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলেছে।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নেয়ার কারণেই স্থাপনাটি সিটি কর্পোরেশন ভেঙ্গে ফেলেছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ফুটপাতে, রাস্তায়, পাবলিক প্লেসে এরকম স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইলে সিটি কর্পোরেশনের কাছে শুরুতে অনুমতি পত্র দিতে হয়। এরপর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করে সিটি কর্পোরেশন।

এরপর যারা স্থাপনা নির্মাণ করতে চায় তাদের ঐ কমিটির সামনে একটি প্রেজেন্টেশন দিতে হয়। এসবের ভিত্তিতে কমিটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে ঐ স্থাপনাটি তৈরি করার অনুমতি দেয়া হবে, কি না।

তবে পলাশীর মোড়ে মঙ্গলবার রাতে স্মৃতিস্তম্ভটি স্থাপন করার ক্ষেত্রে এরকম কোনো পদক্ষেপই মানা হয়নি বলে জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের।

এছাড়া পলাশীর মোড়ের ঐ রাউন্ডঅ্যাবাউট বা গোলচত্বরের ওপর কোনো ধরণের স্থাপনা তৈরি করলে যান বাহন চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে বলে জানান আবু নাসের।

স্মৃতিস্তম্ভটি স্থাপনের সাথে যুক্ত, বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা আখতার হোসেন নিশ্চিত করেন যে স্তম্ভ নির্মাণের আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে এই স্তম্ভ ভেঙ্গে দেয়া হলেও ঢাকার বাইরে আরো কয়েকটি জেলায় আবরারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্তম্ভ নির্মাণ করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।