করোনার অজুহাতে কওমি মাদরাসা বন্ধ করতে চায় সরকার
নিউজ ডেস্ক
আরটিএনএন
ঢাকা: করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গেল বছরের ১৮ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় এ ছুটি বাড়ানো হয়।
আজ ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এ ছুটি আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে এরইমধ্যে গেল বছরের আগস্টে কওমি মাদরাসার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেফাকুল মামারাসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) বিশেষ আবেদনে সাড়া দিয়ে কওমি মাদরাসা খুলে দেয়ার অনুমতি দেয় সরকার।
এবার করোনা পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ায় কওমি মাদরাসাগুলোও বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সোমবার সরকারের জারি করা ১৮ দফা জরুরি নির্দেশনার ১০ নম্বর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদরাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
ফরহাদ হোসেন গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘মাদরাসার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে শুধু কওমি না, সব মাদরাসা, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। করোনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এখনই সংক্রমণ রোধ না করা গেলে সমস্যা হবে।’
এদিকে কওমি মাদরাসাগুলো বন্ধ রয়েছে জানিয়ে কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ যুবায়ের বলেছেন, ‘ক্লাস কিন্তু আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। যখন নিচের পরীক্ষাগুলো হয় তারও আগে ক্লাস বন্ধ হয়ে গেছে। ক্লাস বন্ধ, মাদরাসা বন্ধ। শুধু যে কটা ক্লাসের পরীক্ষা বাকি আছে, সেগুলো চলছে।’
তিনি জানান, তাদের পরিচালিত দেশের ১৩ হাজার ৭১০টি মাদরাসায় ক্লাস বন্ধ রয়েছে। পরীক্ষঅও নেয়া হয়ে গেছে। মাস্টার্স সমমানের পরীক্ষা শুধু বাকি রয়েছে। শবে বরাতের শেষে আগামীকাল বুধবার থেকে এ পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল।
পরীক্ষা গ্রহণে সরকারের কোনও বাধা না থাকায় বেফাক স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষাগুলো শেষ করতে চায় বলেও জানান মাওলানা যুবায়ের।