‘বিশ্বকাপ ট্রফি’ খেলোয়ারদের নতুন স্বপ্ন দেখিয়ে গেলো
খেলা ডেস্ক আরটিএনএন ঢাকা: ‘বিশ্বকাপ’- বাংলাদেশের জন্য এখনো অধরা সোনার হরিণ। তবে প্রায় প্রতিটি বিশ্বকাপের আগে এই ট্রফি টাইগারদের চোখে স্বপ্ন এঁকে দিয়ে যায়। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। ২০২৩ সালের আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি এসেছে বাংলাদেশে। গত সোমবার পদ্মা সেতুতে হয়েছে এই ট্রফির ফটোসেশন। আর গতকাল মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সংবাদকর্মীরাও। ছিলেন বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ পরিচালকরা। গতকাল সকাল ৯টায় ড্রেসিংরুম থেকে মুশফিকুর রহীম ট্রফি নিয়ে ঢোকেন। এরপরই মঞ্চে আসেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটাররা। তাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করান ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। জুয়েল স্ট্যান্ডের সামনে সাজানো মঞ্চে মুশফিক ট্রফি রাখেন। সবাই একসঙ্গে তোলেন ছবি। তানজিদ হাসান তামিম বা তানজিম হাসান সাকিবের মতো একেবারে তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞরাও। তাদের সঙ্গে ছিলেন কোচিং স্টাফের প্রায় সব সদস্য। ট্রফি নিয়ে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেটাররা গ্রুপ ছবি তোলার পর আলাদা করেও ছবি তোলেন। সেই সময় ট্রফি ছেড়ে যাওয়ার আগে তাকে চুমু দিলেন তরুণ ক্রিকেটার শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ট্রফি নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মুশফিক বলেন, আমি অনেক ভাগ্যবান যে শেষের ৪টি বিশ্বকাপ খেলেছি। এবারো যদি খেলার সুযোগ পেয়ে থাকি, তাহলে অবশ্যই চাইবো যে, গত ৪টা বিশ্বকাপ যেমন ফল পেয়েছি, তার চেয়ে ভালো করতে। আমাদের সেই শক্তিমত্তা আছে, সেই বিশ্বাস আছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে নির্দিষ্ট দিনে আমরা কতো ভালো শুরু করতে পারি। আমার মনে হয়, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেন আমরা ভালোভাবে শুরু করি।’ চার বিশ্বকাপ খেলা অভিজ্ঞ মুশফিক তরুণদের জন্য এটা দারুণ সুযোগ মনে করে বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা অবশ্যই অনেক বড় একটা সুযোগ তাদের জন্য। কারণ তারা গত যে কয়টা বছর খেলেছে, এ রকম বড় কোনো ইভেন্টে খেলেনি। তবে তারা যেভাবে গত ২-৩টা বছর পারফরম্যান্স করেছে, আমার মনে হয় এই একটা মঞ্চ, যেখানে তারা আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে। তারা যদি এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারে, তাহলে আমার মনে হয় ভালো কিছুই হবে। এ ছাড়াও দলের অন্যতম পেসার তাসকিন আহমেদের উচ্ছ্বাসও কম ছিল না। তিনি বলেন, ‘আসলে এটা শুনতে খুব আনন্দের যে, আমাদের ফাস্ট বোলাররা আগের চেয়ে ভালো করছে এবং এই ফাস্ট বোলারদের উন্নতির জন্য গত কিছু বছর আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। সামনে আরও উন্নতির লক্ষ্যে কষ্ট করে যাচ্ছি যেন, সামনে আরও ভালো কিছু করতে পারি। সামনের বিশ্বকাপেও আমরা খুব আশাবাদী যে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।’ ক্রিকেটারদের ছবি তোলার পর্ব শেষে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় মাঠের মাঝখানে উইকেটের ওপর। ওখানে শুরুতে ফটো-ভিডিও করা হয় আইসিসি’র জন্য। পরে ছবি তোলেন মাঠকর্মীরা। তাদের চোখে মুখেও ছিল স্পষ্ট উচ্ছ্বাস। এরপর ট্রফি আনা হয় মিডিয়া জোনে। সকালেই বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্রিকেট ডিসিপ্লিনের ক্রিকেটাররা বাসে করে চলে এসেছিলেন মিরপুরে। মিডিয়া জোনে সবাই একসঙ্গে ছবি তোলেন তারা। খুদে ক্রিকেটারদের বিশ্বজয়ের স্বপ্নটাও হয়তো বোনা হলো এখানে। ট্রফিটি পরে রাখা হয় সংবাদকর্মীদের ছবি তোলার জন্য। বিশ্বকাপের ট্রফি এর আগেও বাংলাদেশে এসেছিলো। ২০১১ বিশ্বকাপে তো সহ-আয়োজকই ছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ ট্রফির ওয়ার্ল্ড ট্যুরের অংশ হিসেবে অন্যবারও বাংলাদেশে এসে ঘুরে গেছে বিশ্বজয়ের এই স্মারকটি। এবারো এসেছে তিনদিনের সফরে। এরমধ্যে একদিন পার হয়ে গেছে। গতকাল ছিল দ্বিতীয় দিন। আজ শেষ দিনের মতো ঢাকায় অবস্থান করবে বিশ্বকাপ ট্রফিটি।