সরকারি ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করলো অস্ট্রেলিয়া


নিউজ ডেস্ক

আরটিএনএন

ঢাকা: চীনের মালিকানাধীন ভিডিও অ্যাপের বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ নিলো আমেরিকার আরো একটি মিত্র দেশ। নিরাপত্তা উদ্বেগের জন্য ফেডারেল সরকারের মালিকানাধীন সমস্ত ডিভাইস থেকে টিকটক সরিয়ে ফেলতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার।

পশ্চিমা নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করে চীনের সরকার তার রাজনৈতিক এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহ করতে বাইটড্যান্স লিমিটেডের মালিকানাধীন বেইজিং-ভিত্তিক টিকটক কোম্পানি ব্যবহার করতে পারে। এই উদ্বেগের জেরে কঠিন পদক্ষেপ নিলো অস্ট্রেলিয়ান সরকার।

মে মাসে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজের নেতৃত্বে লেবার সরকার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে ক্যানবেরা এবং বেইজিংয়ের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। অ্যাটর্নি-জেনারেল মার্ক ড্রেফাস একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে নিষেধাজ্ঞাটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কার্যকর করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তথাকথিত ফাইভ আইজ ইন্টেলিজেন্স-শেয়ারিং নেটওয়ার্কের সমস্ত সদস্য - যা অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে গঠিত প্রত্যেকেই সরকারী ডিভাইস থেকে অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করেছে।

ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং ইউরোপীয় কমিশন একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।অস্ট্রেলিয়ান সংবাদপত্র জানিয়েছে যে আলবেনিজ স্বরাষ্ট্র দফতরের সাথে একটি বৈঠক শেষ করার পরে টিকটক ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ড্রেফাস নিশ্চিত করেছেন যে ফেডারেল সরকার সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিদেশী হস্তক্ষেপের রিপোর্ট পেয়েছে এবং এর সুপারিশগুলি বিবেচনাধীন রয়েছে। টিকটক বলেছে যে অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তে তারা অত্যন্ত হতাশ। এই পদক্ষেপের সাথে তারা রাজনীতির যোগসূত্রের পালট অভিযোগ তুলেছে।

টিকটকের অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের জেনারেল ম্যানেজার লি হান্টার একটি বিবৃতিতে বলেছেন- টিকটক কোনোভাবেই অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকির উদ্রেক করে না।