হজ্জ বন্ধ নয় সীমিত পরিসরে করতে চায় সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
রিয়াদ: করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় এবার হজের পরিসর সীমিত করার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব।
হজ পালনের জন্য প্রত্যেক দেশের যে নির্ধারিত কোটা আছে তার ২০ শতাংশ এবার হজে যেতে পারবেন। সেই হিসেবে প্রতিবারের তুলনায় এবার হজের পরিসর হবে ৫ ভাগের এক ভাগ। খবর রয়টার্সের
করোনা মোকাবিলায় এবার হজ বাতিলের জন্য চাপ দিচ্ছেন কিছু সৌদি কর্মকর্তা। তবে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ‘প্রতীকী সংখ্যক’ মুসল্লিদের হজের অনুমতি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। প্রতি বছর যেখানে সাধারণত ২৫ লাখ মুসল্লি হজ পালন করেন, এবার সেখানে মাত্র ৫ লাখ মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
আগ্রহীদের বাড়তি স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল অনুমতি মিলবে। তবে বয়স্কদের জন্য এবার হজ পালনের সুযোগ থাকছে না।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটার জানিয়েছে, সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত এক লাখ পাঁচ হাজার ২৮৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ জুন হজ ও ওমরাহ পালনের জন্য মক্কায় যাওয়ার প্রবেশপথ বন্দরনগরী জেদ্দায় নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করে সৌদি আরব। লকডাউনের পাশাপাশি বিকাল ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউও থাকবে। মসজিদগুলোতে নামাজ স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া সব সরকারি ও বেসরকারি কর্মজীবীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হজ উপলক্ষে সারাবিশ্ব থেকে ২৫ লাখ মুসলিম সৌদি আরব ভ্রমণ করেন । আগামী জুলাইয়ের শেষের দিকে এবারের হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত মার্চে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার পর সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে হজ নিয়ে মুসল্লিদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। এবারের হজ পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত দুই জন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, শুধুমাত্র প্রতীকী সংখ্যা হিসেবে কিছু মুসল্লি হজের সুযোগ পাবে। এছাড়া বৃদ্ধদের হজ করায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। পাশপাশি স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হবে ।
জানতে চাইলে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। হজ এবং উমরাহ থেকে সৌদি সরকার প্রতি বছর ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আদায় করে । আর এবারের করোনার ভাইরাসের কারণে তেলের দাম কমে যাওয়ার পাশাপাশি যদি হজ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সৌদি আরব অর্থনৈতিক সংকোচন মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।