ইরান ইউরেনিয়াম মজুদ ১০ গুণ বাড়িয়েছে, দাবি জাতিসংঘের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আরটিএনএন

তেহরান: ২০১৫ সালের চুক্তিতে থাকা সীমার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ইউরেনিয়াম ইরান মজুদ করেছে বলে বলছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সংস্থা বলছে আন্তর্জাতিক সমঝোতা চুক্তিতে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম থাকার কথা ইরান তার চেয়ে অন্তত দশ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে। খবর বিবিসি বাংলার

ইউরেনিয়াম, পারমানবিক বোমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তবে ইরান সবসময় দাবি করছে যে তার পারমানবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য।

দ্যা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) বলছে এখন ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুদের পরিমাণ ২,১০৫ কেজি।

সংস্থাটি এ দাবি করল ইরানের দুটি সন্দেহভাজন পারমানবিক ক্ষেত্রের একটি পরিদর্শনের পর।

তারা বলছে দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি তারা চলতি মাসের শেষ দিকে পরিদর্শন করবে।

গত বছর থেকে ইরান ইচ্ছাকৃতভাবেই ও অনেকটা প্রকাশ্যেই ছয় বিশ্ব শক্তির সাথে করা পরমাণু চুক্তির অঙ্গীকার থেকে সরে আসতে থাকে।

২০১৫ সালে ওই চুক্তিতে ইরান ছাড়াও চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করেছিল।

পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায়।

চুক্তি অনুযায়ী আর্ক শহরে অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম এমন প্লুটোনিয়াম উৎপাদন বন্ধ রাখার বিষয়ে রাজী হয়েছিলো ইরান।

চুক্তি অনুযায়ী পরমাণু অস্ত্র বানাতে প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়ামের চেয়ে অনেক কম মাত্রায় ইউরেনিয়াম ইরানের উৎপাদন করার কথা।

তবে ট্রাম্প চুক্তি থেকে সরে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে ইরানও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে থাকে।

চুক্তি অনুযায়ী ইরানের সর্বোচ্চ ৩০০ কেজি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে থাকার কথা।

কম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম যাতে ইউ-২৩৫ থাকে তিন থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে তা ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের তেল উৎপাদনে। আর অস্ত্র বানানোর ইউরেনিয়াম অন্তত ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ হতে হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার জন্য দীর্ঘ সময় লাগে।

গত সপ্তাহে ইরান বলেছিল তারা পরমাণু নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝুলে থাকা ইস্যু সমাধানের লক্ষ্যে ভালো বিশ্বাসেই অস্ত্র পরিদর্শকদের পরিদর্শনের সুযোগ দিচ্ছে।

তবে আইএইএ ঘোষণা করা হয়নি এমন পরমাণু দ্রব্যাদি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর না দেয়া এবং আরো দুটি ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার না দেয়ায় ইরানের সমালোচনা করেছে।

সর্বশেষ বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে ইরান তাদের পরিদর্শকদের পরিবেশগত স্যাম্পল সংগ্রহের সুবিধা দিয়েছে এবং এসব স্যাম্পল পরীক্ষাগারে বিশ্লেষণ করা হবে।