চীনবিরোধী স্লোগানে উত্তাল পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান হলো চীনের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত প্রধান অংশীদার। এমনকি কয়েকদিন আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, ‘পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ চীন’। আর চীনও সম্প্রতি নেপাল ও আফগানিস্তানকে সতর্কবার্তা দিয়েছে যে ‘পাকিস্তানের মতো হও’। এমন অবস্থার মধ্যেই কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের হাজার হাজার মানুষ।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সোমবার রাতে প্রবল বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠে। রাতের অন্ধকারে মশাল হাতে স্থানীয়রা বিক্ষোভে সরব হয়েছেন। তাদের ক্ষোভ মূলত চীনের বিরুদ্ধে। তাদের স্লোগান ছিল ‘নদী বাঁচাও, মুজ্জাফরাবাদ বাঁচাও’।
চীনের সহায়তায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যয়বহুল একটি বাঁধ তৈরি করছে ইমরান খান সরকার। নীলাম-ঝিলাম নদীর ওপর এই বাঁধ তৈরি হলে ভারতে তথা কাশ্মীরের মানুষের সমস্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের অধিকৃত আজাদ পট্টনে, কোহালা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি বড় প্রকল্প চালু হতে চলেছে। চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল এই কোহালা।
আর এতে ভারত অধিকৃত কাশ্মীর প্রচণ্ড পানিসঙ্কটে ভুগবে। আর তাতে পরোক্ষে মদত যোগাচ্ছে চীন। সেই চীনের বিরুদ্ধেই এদিন প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরবাসী।
বাঁধ দেওয়ার কারণে যে প্রকল্প কার্যত নীলাম-ঝিলামের গতিপথকে রোধ করবে। আর তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের স্লোগান ছিল ‘নিলম ঝিলম বহেনে দো...’ ‘নিলাম-ঝিলামকে বইতে দাও’।
চীনের গেজউবা গ্রুপের সহায়তার এই বাঁধ নির্মিত হচ্ছে। যার হাত ধরে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে নিজের অধিকারের দাপট আরও বাড়ানোর কথা ভাবছে পাকিস্তান।
অন্যদিকে, চীনের সাম্রাজ্য বিস্তার ও দাপটের নেশাও অক্ষুণ্ণ থাকছে এই প্রকল্পের হাত ধরে। আর এই সমস্ত আর্থিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ মুনাফার মাঝে কাশ্মীরবাসী অসহায় মনে করছে নিজেদের।