সারা বিশ্বে ৫০ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আরটিএনএন

ওয়াশিংটন: চীনের উহান থেকে গত ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি চারমাস পেরোলেও নিয়ন্ত্রণের কোনও লক্ষণ নেই। যদিও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উঠে পড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ, মৃত্যু প্রায় সোয়া ৩ লাখ, আর সুস্থ হয়েছে সাড়ে ১৯ লাখের বেশি।

মহামারি করোনা ভাইরাসে স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। ভাইরাস মোকাবিলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, জরুরি অবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ। ইতিমধ্যে এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো দুনিয়া।

মার্কিন জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার ৯৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৯৪ হাজার ৮১৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ১৪৯ জন। বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বর্তমানে বিশ্বে ২৭ লাখ ৪ হাজার ৮৮৭ জন শনাক্ত রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৯ জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আর ৪৫ হাজার ৪৪৮ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছে।

ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়ালেও বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৩, সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ৬১ হাজার ১৮০, মারা গেছে ৯৩ হাজার ৫৩৩ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু এবং আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে।

আর যেসব দেশে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে, সেগুলো হলো- রাশিয়ায় আক্রান্ত ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪১, সুস্থ হয়েছে ৭৬ হাজার ১৩০, মারা গেছে ২ হাজার ৮৩৭ জন। স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৩, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৫৮, মারা গেছে ২৭ হাজার ৭৭৮ জন। ব্রাজিলে আক্রান্ত ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৮৫, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৭৯৪, মারা গেছে ১৭ হাজার ৯৮৩ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮১৮, সেখানে কর্তৃপক্ষ সুস্থতার সংখ্যা প্রকাশ করেনি, মারা গেছে ৩৫ হাজার ৩৪১ জন। ইতালিতে আক্রান্ত ২ লাখ ২৬ হাজার ৬৯৯, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪০১, মারা গেছে ৩২ হাজার ১৬৯ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯, সুস্থ হয়েছে ৬২ হাজার ৫৬৩, মারা গেছে ২৮ হাজার ২২ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮২৭, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭০০, মারা গেছে ৮ হাজার ১৯৩ জন। তুরস্কে আক্রান্ত ১ লাখ ৫১ হাজার ৬১৫, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৮৯৫, মারা গেছে ৪ হাজার ১৯৯ জন। ইরানে আক্রান্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৬০৩, সুস্থ হয়েছে ৯৭ হাজার ১১৩, মারা গেছে ৭ হাজার ১১৯ জন। পেরুতে আক্রান্ত ৯৯ হাজার ৪৮৩, সুস্থ হয়েছে ৩৬ হাজার ৫২৪, মারা গেছে ২ হাজার ৯১৪ জন।

এ দিকে, করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্ত ৮২ হাজার ৯৬৫, সুস্থ হয়েছে ৭৮ হাজার ২৪৪, মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৪ জন। কানাডাতে আক্রান্ত ৭৯ হাজার ১১২, সুস্থ হয়েছে ৪০ হাজার ৫০, মারা গেছে ৫ হাজার ৯১২ জন। বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৫৫ হাজার ৭৯১, সুস্থ হয়েছে ১৪ হাজার ৬৮৭, মারা গেছে ৯ হাজার ১০৮ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত ৫৪ হাজার ৩৪৬, সুস্থ হয়েছে ৩৭ হাজার ৩২৫, মারা গেছে ৫ হাজার ৬৬৬ জন। নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৪৪ হাজার ২৪৯, সেখানে কর্তৃপক্ষ সুস্থতার সংখ্যা প্রকাশ করেনি, মারা গেছে ৫ হাজার ৭১৫ জন।

অন্যদিকে, ইকুয়েডরে আক্রান্ত ৩৪ হাজার ১৫১, সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৪৫৭, মারা গেছে ২ হাজার ৮৩৯ জন। সুইডেনে আক্রান্ত ৩০ হাজার ৭৯৯, সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ৯৭১, মারা গেছে ৩ হাজার ৭৪৩ জন। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ৩০ হাজার ৬১৮, সুস্থ হয়েছে ২৭ হাজার ৭০০, মারা গেছে ১ হাজার ৮৯১ জন। পর্তুগালে আক্রান্ত ২৯ হাজার ৪৩২, সুস্থ হয়েছে ৬ হাজার ৪৩১, মারা গেছে ১ হাজার ২৪৭ জন। আয়ারল্যান্ডে আক্রান্ত ২৪ হাজার ২৫১, সুস্থ হয়েছে ১৯ হাজার ৪৭০, মারা গেছে ১ হাজার ৫৬১ জন। ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্ত ১৮ হাজার ৪৯৬, সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ৪৬৭, মারা গেছে ১ হাজার ২২১ জন। রোমানিয়ায় আক্রান্ত ১৭ হাজার ১৯১, সুস্থ হয়েছে ১০ হাজার ১৬৬, মারা গেছে ১ হাজার ১৩৭ জন।

এ ছাড়া, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে আক্রান্ত ১ লাখ ৬ হাজার ৭৫০, সুস্থ হয়েছে ৪২ হাজার ৩০৯, মারা গেছে ৩ হাজার ৩০৩ জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত ৪৫ হাজার ৮৯৮, সুস্থ হয়েছে ১৩ হাজার ১০১, মারা গেছে ৯৮৫ জন। বাংলাদেশে আক্রান্ত ২৫ হাজার ১২১, সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ৯৯৩, মারা গেছে ৩৭০ জন।

প্রসঙ্গত: এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, বারবার কাঁপুনি, পেশিতে ব্যথা, মাথা ব্যথা এবং হঠাৎ করে স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া। তাই এগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাইরে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।