পবিত্র মাহে রমজান এবং আধ্যাত্মিক সাধনার ইতিহাস
পবিত্র মাহে রমজান এবং আধ্যাত্মিক সাধনার ইতিহাস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
ওয়াশিংটন: চলতি বছরের মে মাসের ৬ তারিখে মুসলিমদের পবিত্র মাস রমজানের শুরু হয়েছে। এই ঐতিহ্য চালু হয়েছিল সপ্তম শতক থেকে এবং রমজান মাস উদযাপন শুরু হয় যখন নবী মুহাম্মদ(সা:) সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর উত্তরাঞ্চলের হেরা গুহায় তার আধ্যাত্মিক ধ্যান সাধনায় পরিপূর্ণতা লাভ করেন।
আর এর পর প্রত্যেক বছর পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশ দিনে মুসলিম গণ ‘লাইলাতুল কদর’ বা ‘আশার রাত’ তালাশ করে থাকেন এবং তারা বিশ্বাস করেন যে, এই রাতটি পুরো বছরের সবচেয়ে পবিত্র তম রাত।
শিয়া মুসলিম গণ রমজান মাসের ২৩ তম রাত কে ‘লাইলাতুল কদর’ এর রাত বলে আখ্যায়িত করে থাকেন আর সুন্নি মুসলিম গণ ২৭ তম রমজান কে এই মহিমান্বিত রাত হিসেবে অভিহিত করে এ রাতে ইবাদত করে থাকেন।
পবিত্র কুরআনে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে যা ‘হাজার মাসের চাইতেও উত্তম।’
মুসলিমরা বিশ্বাস করে থাকেন যে, এই রাতে মহান আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা জিবরাঈল নবী মুহাম্মদ(সা:) এর নিকট আল্লাহ তায়ালার বাণী নিয়ে আসেন।
ইসলামিক দিন পঞ্জিকা অনুসরণ করে থাকে এবং তাতে জর্জিয়ান দিন পঞ্জিকার বছরের চাইতে ১১ দিন কম থাকে। রমজান মাস জুন মাসের ৪ তারিখে শেষ হবে এবং এ মাসটি শুরু হয় নতুন চাঁদ দেখার মাধ্যমে।
ঐশী বাণী এবং বিজয়ের ইতিহাস
ইসলাম ধর্মের মূল প্রোথিত রয়েছে জুডো-খ্রিষ্টান ঐতিহ্যের মধ্যে এবং ধর্মটি অন্যান্য আব্রাহমিক ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ সমূহ যেমন তোরাহ, ইঞ্জিল ইত্যাদির স্বীকৃতি দিয়ে থাকে।
ঐশী বাণীর আগমন ছাড়াও পবিত্র রমজান মাসের আরো অনেক ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।
৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে এই মাসে মুসলিমরা বদর যুদ্ধ জয় করে যা নবী মুহাম্মদ(সা:) এর জন্ম ভূমি মক্কায় শত্রুদের উপর মুসলিমদের অন্যতম বড় একটি বিজয়।
পরবর্তীতে, ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে রমজান মাসে মুহাম্মদ(সা:) মক্কা বিজয়ে নেতৃত্ব দান করেন।
আধ্যাত্মিক শুদ্ধতার মাস
পবিত্র রমজান মাসে ৩০ দিন যাবত মুসলিমরা দিনের বেলায় উপবাস থাকেন এবং প্রতিদিন নিয়ম করে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে থাকেন। এই মাসে মুসলিমরা সূর্যোদয়ের পূর্বে খাবার খেয়ে থাকেন এবং সূর্যাস্তের পর ইফতার করার মাধ্যমে সিয়াম সাধনার অবসান ঘটান।
পবিত্র এই মাসে খাদ্য এবং পানীয় ছাড়াও দিনের বেলায় মুসলিম গণ সব ধরণের যৌন কর্ম থেকে বিরত থাকেন।
এই মাসে একই সাথে মুসলিম গণ ইসলাম ধর্মের অন্যতম স্তম্ভ জাকাত আদায় করে থাকেন।
আরবি রমজান শব্দের মূল উৎপত্তি গত শব্দের অর্থ হচ্ছে অত্যধিক তাপমাত্রা। তথাপি, দিনের বেলায় উপবাস করার মাধ্যমে মুসলিমরা ভালো কাজের মাধ্যমে তাদের গুনাহ সমূহ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার একটি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যান।
পবিত্র রমজান মাসের শেষে বিশ্বের মুসলিম গণ ঈদ-আল-ফিতর উদযাপন করে থাকেন এবং সুস্বাদু খাবার দাবার খেয়ে থাকেন।
সূত্র: edition.cnn.com